কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | কসোভো কাজের বেতন কত |

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা  কসোভো কাজের বেতন কত

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে আজকের আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনারা আজকের আর্টিকেল থেকে এই দেশটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আপনারা ইউরোপের দেশে কাজ করতে যেতে চান এটা ইউরোপের একটি দেশ। যে কারণে অনেকেই এই দেশটিতে কাজ করতে যেতে আগ্রহী।

আবার অনেকে রয়েছেন যারা বর্তমানে সেখানে কাজ করেছেন। তো আপনারা যারা এই দেশটি সম্পর্কে জানতে চান আজকের আর্টিকেল আপনাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। দেশটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে পুরো কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আজকের আলোচ্য বিষয় কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা এই দেশটি সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারবেন। যে সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন তা হলোঃ-

কসোভো যেতে কত টাকা লাগে, কিভাবে আপনারা এই দেশটিতে যেতে পারবেন, সেখানে গিয়ে কত টাকা আয় করতে পারবেন, প্রতিমাসে কেমন টাকা সেভ করতে পারবেন, সেখানে কেমন খরচ হবে, কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে, সেখানে মুদ্রার নাম এবং মুদ্রার মান কেমন, এছাড়াও আরো অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন।

কসোভো পরিচিতি

কসোভো এটা ইউরোপের একটি দেশ। এ দেশটির রাজধানীর নাম প্রিস্টিনা একই সাথে বৃহত্তম নগরও এটা। এই দেশটির আয়তন ১০ হাজার ৯০৮ বর্গ কিলোমিটার। দেশটিতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ২ মিলিয়ন। দেশটির মুদ্রার নাম ইউরো। এই দেশটির বেশিরভাগ মানুষ আলবেনিয়া ভাষায় কথা বলে থাকে। দেশটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজ করার জন্য এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসে থাকে।

কসোভো যেতে কত টাকা লাগে

এ দেশটিতে যেতে আপনাদের খরচ হবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা। অনেকেই এই দেশটিতে বর্তমানে কাজ করছেন আবার অনেকেই যাবেন। আপনারা অবশ্যই সঠিক তথ্য জেনে তবে যাবার সিদ্ধান্ত নেবেন। আর যেহেতু এটা ইউরোপ কান্ট্রি একটি দেশ যে কারণে এখানে কাজের জন্য যাওয়ার আগ্রহ বেশি থাকে।

আপনার যদি কোন রিলেটিভ থাকে তাহলে তাদের কে আপনারা জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন অথবা আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবে আপনার কত টাকা খরচ হবে। তবে আমরা আনুমানিক বলছি পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ থেকে এই দেশটিতে যাওয়া সম্ভব।

কসোভো কাজের বেতন কত

কসোভোতে কাজ করে আপনি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা। আপনারা যদি এই দেশটিতে কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে মোট আয় করতে পারবেন প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। তবে কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। যে যেমন ক্যাটাগরি কাজ করবেন সে তেমন বেতন পাবেন। তবে আপনারা সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা পাবেন তার নিচে আপনার বেতন পাবেন না।

আরো জানতে ভিজিট করুন


কসোভো যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়

কসোভো যেতে হলে আপনার যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে তা জানা জরুরী। ডকুমেন্টস এর কারণে আমরা অনেক সময় ভিসা পাইনা। যে কারণে ডকুমেন্টস সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে তার সম্পর্কে পূর্ব থেকে জানা থাকলে সে সকল ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করা সহজ হয়ে যায়। তো চলুন জেনে আসি কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় এই দেশটিতে যাবার ক্ষেত্রে।
  • প্রথমত একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৬ মাস। আপনি যেহেতু কাজ করার জন্য যাবেন সুতরাং আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ২ বছরের বেশি থাকা ভালো।
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • করোনা কি টিকা কার্ড।
  • ভিসা ফি প্রদানের রশিদ।
  • পুরনকৃত আবেদন ফর্ম ইত্যাদি।

কসোভো যেতে কত সময় লাগে

আপনারা অনেকেই এই দেশটিতে কাজ করার জন্য যেতে চান। যে কারণে আপনারা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সেখানে ভিসা প্রক্রিয়া বাবদ কত মাসের মধ্যে আপনারা বাংলাদেশ থেকে সে দেশে যেয়ে কাজ করতে পারবেন। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এ দেশটিতে যাওয়া সম্ভব। আপনারা চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে সকল প্রকার সম্পন্ন করে কসোভোর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন। অর্থাৎ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। তবে কোনরকম সমস্যা হলে সময় বেশি রাখতে পারে।

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা  কসোভো কাজের বেতন কত

কসোভো মুদ্রা মান কেমন

কসোভো এর মুদ্রার নাম ইউরো। আর এদেশের মুদ্রার মান আমাদের দেশের চেয়ে অনেক উন্নত। কসোভো এর এক মুদ্রা দিয়ে আপনারা বাংলাদেশের প্রায় ১১৭ টাকা পাবেন। এ থেকে আপনারা বুঝতে পারছেন সেখানকার মুদ্রার মান কেমন। তবে মুদ্রার মান পরিবর্তনশীল। যে কারণে সব সময় একই রকম মান নাও থাকতে পারে। আপনারা গুগল থেকে সব সময় আপডেট তথ্য দেখে নিতে পারবেন।

কসোভো ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে

কসোভো ভিসা প্রসেসিং খুব দ্রুত সময়ে হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনারা ৭ থেকে ১২ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে মাত্র ৭ থেকে ১২ কর্ম দিবস। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগতে পারে।
Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url