গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (কাজের বেতন, যাবার খরচ বিস্তারিত তথ্য)

গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (কাজের বেতন, যাবার খরচ বিস্তারিত তথ্য)

গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনারা অনেকেই অনেক দেশে কাজ করতে যেতে চান। অনেকেই রয়েছেন যারা বর্তমানে বিদেশে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন। আজকে আর্টিকেল যারা যেতে চান অথবা যারা কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন তাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যদি আপনি এ দেশটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন।

যে কোন দেশে যাবার পূর্বে আপনাদের সকলেরই উচিত সে দেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা এই দেশটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। যেগুলো আপনাদের উপকারে আসতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা সংক্রান্ত জানা অজানা তথ্যগুলো।

গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য আজকের আর্টিকেলে উল্লেখ করা রয়েছে। আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পুরো কনটেন্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হলঃ-

গ্রিসে যেতে কত টাকা লাগে, গ্রিসে কাজের বেতন কত অর্থাৎ একজন শ্রমিক প্রতি মাসে কত টাকা আয় করতে পারবে, গ্রিসে যেতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে, বাঙালিরা সেখানে কেমন ধরনের কাজ করে এবং কোন কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে। এছাড়াও আরো অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গ্রীসে কাজের বেতন কত

গ্রিসে কাজ করলে আপনি প্রতি মাসে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। গ্রিসের কাজের বেতন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। উচ্চ মূল্যে বেতন দিয়ে থাকে। যদি আপনি দক্ষতার সঙ্গে এদেশে কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কম অথবা বেশি হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় আপনি প্রায় এক লক্ষ টাকায় ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে সে কাজের উপর দক্ষ হতে হবে।

গ্রীস যেতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়

গ্রিসে যেতে চাইলে আপনার বেশ কিছু কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। অবশ্যই ডকুমেন্টসগুলো বৈধ হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে গ্রিসে যেতে হলে।
  1. একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  2. পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস এবং তার সাথে দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  3. ভোটার আইডি কার্ড বা জন্মনিবন্ধন এর প্রয়োজন হবে।
  4. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  5. মেডিকেল রিপোর্ট।
  6. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  7. করোনার টিকা কার্ড।
  8. সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
  9. ভিসা ফি প্রদান করার রশিদ।
আর অন্যান্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা অবশ্যই বৈধ হতে হবে। আপনার যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাদেরকে পূর্বেই বলে দেবে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে

গ্রিসে যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকা পরিমাণ কম অথবা বেশি হতে পারে। আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন অথবা যার মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবেন কত টাকা খরচ হবে এ দেশটিতে যেতে হলে। তবে অবশ্যই আপনারা যার মাধ্যমে যাবেন বা যে এজেন্সির  মাধ্যমে যাবেন সে সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন।

আরো জানতে ভিজিট করুন


গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (কাজের বেতন, যাবার খরচ বিস্তারিত তথ্য)

গ্রীসে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে

গ্রিসে বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। তবে সকল কাজের চাহিদা এক রকম না। বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রে যে সকল কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে গ্রিসে তা আপনাদের জানা উচিত। আপনারা সেই সকল কাজগুলোর ওপর দক্ষতা অর্জন করে এদেশে কাজ করতে আসতে পারেন। কোন কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সেই সকল কয়েকটি কাজের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • স্বাস্থ্যসেবা খাতে, অর্থাৎ, নার্স, ওষুধ প্রস্তুতকারক ইত্যাদি।
  • প্রযুক্তি, ওয়েব ডিজাইনার
  • হোটেল ম্যানেজার
  • রাজমিস্ত্রি
  • লেবার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • কৃষক
  • প্লাম্বার
  • ক্লিনার
  • ড্রাইভিং
  • সেফ
  • ডেলিভারি বয় ইত্যাদি।

গ্রীসে বাঙালীরা কি কি কাজ করেন

গ্রিসে গিয়ে বাঙ্গালিরা অনেক ধরনের কাজ করে। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। বাঙালিরা মূলত গ্রিসে গিয়ে যে সকল কাজগুলো করে তা হলঃ-
  • ক্লিনার
  • ড্রাইভিং
  • রাজমিস্ত্রি
  • লেবার
  • প্লাম্বার
  • ডেলিভারি বয়
  • প্রযুক্তি, ওয়েব ডিজাইনার
  • হোটেল ম্যানেজার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • সেফ
  • কৃষক
  • স্বাস্থ্যসেবা খাতে, অর্থাৎ, নার্স, ওষুধ প্রস্তুতকারক
উক্ত কাজগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন। সকল কাজের জন্য আলাদা আলাদা বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের ওপর এই দেশে আপনারা কাজ করতে আসতে পারেন।

গ্রীসের মুদ্রার মান কেমন

গ্রিসের মুদ্রার নাম ইউর। বাংলাদেশের মুদ্রার চেয়ে গ্রিসের মুদ্রার মান অনেক বেশি। গ্রিসের এক মুদ্রা সমান বাংলাদেশের প্রায় ১১৭ টাকা। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে বাংলাদেশের মুদ্রা মান এর চেয়ে গ্রিসের মুদ্রার মান কতটা দেশে। গ্রিসের একশ ইউরো সমান বাংলাদেশের প্রায় ১১,৭৮০ টাকা। তবে মুদ্রার মান পরিবর্তনশীল। সুতরাং, সব সময় মুদ্রার মান একই নাও থাকতে পারে। তবে আপডেট তথ্য আপনারা গুগল থেকে জেনে নিতে পারবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url