বেলজিয়াম কাজের ভিসা | বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে |
ইউরোপের অনেক দেশে অনেকেই কাজ করতে যেতে আগ্রহী। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে বাঙালিরা কাজ করেছেন। অনেকেই রয়েছেন যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে চান। আজকে আমরা ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত বেলজিয়াম দেশটি নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা এই দেশটি সম্পর্কে জানতে চান অথবা কাজ করতে যেতে চান তাদের জন্য আজকে আর্টিকেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন বেলজিয়াম দেশটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নেওয়া যায়।
বেলজিয়াম পরিচিতি
বেলজিয়াম ইউরোপের একটা দেশ। এটি একটা ইউরোপের ক্ষুদ্রতম দেশ। তবে এ দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এদেশটির রাজধানীর নাম বৃহত্তম শহরের নাম ব্রাসেলস। এই দেশটির সরকারি ভাষা ওলন্দাজ, ফরাসি এবং জার্মানি।
এই দেশটির আয়তন ৩০ হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার মাত্র। তবে এই দেশটিতে জনসংখ্যা রয়েছে অনেক। দেশটিতে মোট জনসংখ্যা রয়েছে এক কোটি ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৭৬ জন। ছোট দেশ হিসেবে অনেক জনসংখ্যা রয়েছে দেশটিতে।
বেলজিয়াম কাজের ভিসা
বেলজিয়াম কাজের ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম তথ্য অনেকে জানতে চান। আজকের আলোচনা থেকে আপনারা এই দেশটি সম্পর্কে আপনার জানা-অজানা বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারবেন। যে সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেল থেকে তা হল।
বেলজিয়াম কাজের বেতন কত অর্থাৎ আপনি সেখানে গিয়ে কাজ করে কেমন বেতন পাবেন। বেলজিয়াম যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে। এই দেশটিতে কাজ করতে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে। সেখানকার মুদ্রা মানে কেমন। কোন কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে কোনগুলো চাহিদা কম রয়েছে এছাড়াও আরো অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। বিস্তারিত নিম্ন উল্লেখ করা হলো।
বেলজিয়াম কাজের বেতন কত
বেলজিয়ামের কাজ করে আপনারা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি যেমন ধরনের কাজ করবেন আপনি ঠিক তেমন ধরনের পারিশ্রমিক পাবেন। তবে আপনারা যেমন কাজই করেন না কেন আপনারা যদি সঠিকভাবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা সেভ করতে পারবেন।
আপনি যদি একটু ভালো কাজ করতে পারেন অর্থাৎ উন্নত কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন দেড় লক্ষ টাকার উপরে হবে। যেহেতু বেলজিয়ামে বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সুতরাং আপনারা যাবার পূর্বে সকল ধরনের কাজ সম্পর্কে জেনে নেবেন। আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বেশী সেই কাজটি সেখানে গিয়ে করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম কম হবে এবং খুব সহজেই কাজ করো সম্পন্ন করতে পারবেন। এবং অভিজ্ঞতা থাকার জন্য আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি বেতন পেতে পারেন।
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে
বেলজিয়াম যেহেতু ইউরোপের একটি দেশ যে কারণে এ দেশটিতে আপনি যদি কাজ করতে যেতে চান তবে আপনার বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ খরচ হবে। আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে কোনো এজেন্সির মাধ্যমে সরাসরি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে প্রায় ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
বিভিন্ন কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ভিসার দাম কমবেশি হতে পারে। আপনারা যদি সকল প্রক্রিয়া নিজেরা সম্পন্ন করতে পারেন এবং বেলজিয়াম থেকে অফার লেটার পান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কমে আসবে।
আরো জানতে ভিজিট করুন
বেলজিয়াম যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়
বেলজিয়াম যেতে বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। এই সকল ডকুমেন্টগুলো ভিসা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে ভিসা পেতে অবশ্যই ডকুমেন্টস গুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। আপনার যদি ডকুমেন্টগুলো সঠিক না থাকে তবে আপনি ভিসা পাবেন না। যে সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় তা হলো।- একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। পাসপোর্টে সর্বনিম্ন দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। তার পাশাপাশি পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৬ মাস।
- যেহেতু আপনারা কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছেন সুতরাং আপনার পাসপোর্ট এর মান দুই বছর এর বেশি হলে ভালো হয়।
- এনআইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন হবে।
- সদ্য তোলা ছবি।
- ভোটার আইডি কার্ড।
- মেডিকেল রিপোর্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- করোনার টিকা কার্ড।
বেলজিয়াম কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি
এ দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। তবে আমরা সকলেই জানি কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকে এবং কোন কাজে চাহিদা কম থাকে। যে সকল কাজগুলো চাহিদা অত্যন্ত বেশি রয়েছে সে সকল কাজগুলো হল।
- শ্রমিক
- ফ্যাক্টরি
- রেস্টুরেন্ট
- ক্লিনার
- ড্রাইভিং
- কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি।
বেলজিয়াম এর মুদ্রার মান কেমন
এই দেশটি যেহেতু ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত যে কারণে এদেশটির মুদ্রার নাম ইউরো। আমরা জানি ইউরোর মান বাংলাদেশি মুদ্রার চেয়ে অনেক বেশি। এক ইউরো সমান বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১১৬ টাকা। তবে মুদ্রার মান পরিবর্তনশীল। তাই সবসময় একই রকম মান নাও থাকতে পারে।