পালাউ কাজের ভিসা, বেতন, যাবার খরচ (বিস্তারিত ২০২৩)

পালাউ কাজের ভিসা ২০২৩

পালাউ কাজের ভিসা নিয়ে আজকের আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা এই দেশটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি মানুষ অর্থ উপার্জন করার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ পালাউ। এদেশটিতেও মানুষ কাজ করার জন্য যাচ্ছেন। এ সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।

পালাউ কাজের ভিসা ২০২৩

পালাউ কাজের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনারা যারা এই দেশটিতে যেতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবেন বলে আমরা মনে করি। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা যে সকল তথ্যগুলো পাবেন তা হল।

পালাউ যেতে কত টাকা লাগে, পালাউ কাজের বেতন কত, পালাউ যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, পালাও কোন কাজের চাহিদা বেশি এগুলো সহ আরো অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। চলুন এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাক।

পালাউ যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে যারা পালাউ যেতে চান তাদের মোট খরচ হবে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। তবে বিভিন্ন সময় কিছু টাকা কম অথবা বেশি খরচ হতে পারে। আপনি যে এজেন্সের মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবে আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে। তবে আপনারা খোঁজ খবর নিয়ে তবে টাকা জমা দেবেন।

অনেক অবৈধ কার্যকলাপ হতে পারে সে দিক থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। আপনি যার মাধ্যমে ভিসা নিতে চান অথবা যে এজেন্সের মাধ্যমে যেতে চান সেই এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেবেন। বিভিন্ন জন দালালের মাধ্যমে ভিসা করতে চান। তাদের ক্ষেত্রে খরচটা তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। কারণ দালালরা সেখান থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা লাভ করেন। অবশ্যই যাওয়ার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবেন।


পালাউ কাজের বেতন কত

এই দেশটিতে কাজ করে একজন শ্রমিক প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই দেশটিতে প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বা তারও বেশি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম বেতন হয়ে থাকে। সকল কাজের বেতন একরকম হয় না। কিছু কাজের বেতন বেশি এবং কিছু কাজের বেতন কম হয়।

একই কাজ বিভিন্ন কোম্পানিতে ভিন্ন রকম বেতন দেখা যায়। সুতরাং কোম্পানি ভেদেও বেতন পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশি হয়, যেমন, যারা কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন তারা ৬০ হাজার টাকার মতো আয় করেন, যারা ক্লিনার এর কাজ করেন তারা ৫০ হাজার টাকার মত আয় করেন, যারা ড্রাইভিং এর কাজ করেন তারা অন্যান্য দের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। এভাবেই কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশি হয়।

পালাউ যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

এই দেশটিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যে সকল ডকুমেন্টস গুলো ছাড়া আপনি এদেশটিতে কাজ করার জন্য অথবা অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন না। যে সকল ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন তা নিয়ে উল্লেখ করা হলো।
  • প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। অবশ্যই পাসপোর্টে মেয়াদ থাকতে হবে ছয় মাসের বেশি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে, অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্টে টি শেষ ছয় মাসের হতে হবে।
  • সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • এনআইডি কার্ড।
  • করোনার টিকা কার্ড।
  • বিমান টিকেট।

পালাউ কাজের ভিসা ২০২৩

পালাউ কোন কাজের চাহিদা বেশি

পালাউ বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। যে সকল কাজগুলো বিভিন্ন বিদেশী শ্রমিকরা ও করে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ কাজ করতে গিয়েছেন তারাও এই সকল কাজগুলো করেন। বিদেশে গিয়ে যে সকল কাজগুলো করতে হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো বা যে সকল কাজগুলো চাহিদা বেশি।
  1. ড্রাইভিং
  2. ইলেকট্রিশিয়ান
  3. মেকানিক্যাল
  4. কন্সট্রাকশন
  5. লেবার
  6. ক্লিনার
  7. হোটেল
  8. ফুড প্যাকেজিং
  9. বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য কাজ রয়েছে। তবে এই সকল কাজলের চাহিদা অন্যান্য কাজে তুলনায় বেশি রয়েছে। আপনারা এই সকল কাজগুলো এর ওপর দক্ষ হয়ে আপনি এই দেশে কাজ করার জন্য যেতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url