বাইক কেনার পূর্বে করণীয় কি

বাইক কেনার পূর্বে করণীয় কি

বর্তমান সময়ে বাইকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আপনারা অনেকেই বাইক কিনতে ইচ্ছুক। বাইক আমাদের সকলেরই শখের এবং প্রয়োজনের একটি বাহন। আমরা যখন বাইক কিনি তখন নিজের পছন্দ অনুযায়ী বাইক কিনে থাকে। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে মূলত বাইক কেনার পূর্বে করণীয় কি সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা বাইক কিনবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেল।

বাইক কেনার পূর্বে করণীয় কি

বাইক কেনার পূর্বে আমাদের সকলকে বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমরা সকলেই চাই ভালো একটি বাইক নিতে। ভালো মানের একটি বাইক নিতে হলে আমাদের বেশ কিছু খেয়াল রাখতে হবে। সকলে ভালো মানের বাইক নিতে পারেনা যে কারণে কম বাজেটের মধ্যে তারা একটি বাইক খুঁজে থাকে। বাইক কেনার পূর্বে আমাদের করণীয় কি এই সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বিস্তারিত নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

বাইক কেনার পূর্বে আমরা বিভিন্নজনকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করে থাকি বাইক সম্পর্কে জানার জন্য। এতে আমাদের বাইক কিনতে বাধাগ্রস্ত হয়। কারণ আপনার যে বাইকটি পছন্দ অন্যজনের আরেকটি পছন্দ। বিভিন্ন রকম বাইক ব্যবহার করে যে কারণে তাদের বিভিন্ন রকম মত হয়। যে যেটা ব্যবহার করে তার কাছে সেটা ভালো মনে হয়।

তাই আমরা ইউটিউব অথবা গুগল থেকে অথবা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দেখে নির্বাচন করব কোন বাইকটি আমার জন্য ভালো হবে। নিজের কাছে যেই বাইকটি বেশি ভালো মনে হবে তার গুণগতমান এবং সকল বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখে বাইক কেনার জন্য সম্মতি প্রকাশ করব। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এবং নিজে বিশ্লেষণ করে আমরা বর্তমান সময়ে যে কোন বাইক কিনতে পারি।

তাই অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করার বা বিভিন্ন জনের মত নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। গুগল এবং ইউটিউব আমাদের এই সকল বিষয়গুলো জানতে খুবই সাহায্য করেন। আমরা খুব সহজেই গুগল অথবা ইউটিউব থেকে বিভিন্ন জিনিস জানতে পারি। তেমনি ভাবে আমরা বাইক সম্পর্কেও জানতে পারবো।

বাইক কেনার পূর্বে যে সকল প্রস্তুতি প্রয়োজন


বাইক কেনার পূর্বে আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং তার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। বাইক কেনার পূর্বে যে সকল প্রস্তুতি প্রয়োজন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

ব্র্যান্ড এবং মডেল সম্পর্কে জানুন

আমরা জানি যে বাইক এর অনেক ব্র্যান্ড এবং মডেল রয়েছে। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অথবা বিভিন্ন ইউটিউব, google এর সাহায্য নিয়ে বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং পড়ুন। সামগ্রিক গুণাবলী ব্যান্ডের সুন্দরতা, ব্র্যান্ডের রিভিউ ইত্যাদি খেয়াল রাখুন।

অতঃপর আপনারা সাম্প্রতিতে যারা বাইক ক্রয় করেছে তাদের কাছে থেকে সেই বাইক সম্পর্কে রিভিউ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বাইক সম্পর্কে জানা হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ভেবেচিন্তে বাইক ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাজেট কত তা নির্ধারণ করা

প্রথমে আপনাকে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কত টাকার মধ্যে বাইক কিনতে চান। তবে সেই বাজেটের মধ্যে আপনি বিভিন্ন রকম বাইক নির্বাচন করে তার মধ্য থেকে একটি বাইক ক্রয় করতে পারেন। বাজেট নির্বাচন না করে বাইক কেনার কথা ভাবা যাবে না। কেননা, ধরুন আপনার বাজেট আড়াই লক্ষ টাকা আর আপনি যদি পাঁচ লক্ষ টাকার বাইক নির্বাচন করেন তবে আপনার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় এ বাইক কেনা।

তাই বাইক কেনার পূর্বেই প্রথমে বাজে নির্ধারণ করুন। অতঃপর সেই বাজেট অনুযায়ী বাইক দেখুন। যে বাইকটি আপনার পছন্দ হবে সেই বাইকটি আপনি কিনতে পারেন। আপনার বাজেটের মধ্যে আপনি যেমন কোয়ালিটির বাইক চাচ্ছেন বা আপনার যেটিতে বেশি সুবিধা তেমন করেটির বাইক নির্বাচন করুন।

যেমন কিছু বাইক আছে যেগুলো দ্রুত চলে এবং দেখতেও অনেক সুন্দর হয় তবে তেল বেশি খায়। আবার অনেক বাইক আছে একই দামের মধ্যে যে বাইকগুলোতে কম তেল ব্যবহার করে অনেক বেশি পথ অতিক্রম করা যায়। আপনার যেমনটা প্রয়োজন আপনার তেমন অনুযায়ী বাইক নির্বাচন করুন।

বাইক ব্যবহারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন

আপনি কি কাজের জন্য বাইক নিতে চাচ্ছেন সেটি আপনি নির্ধারণ করুন। আপনি যদি শখের বসে বাইক নেন তাহলে আপনি কখনো চাইবেন না ছোট বাইক নিতে। যে সকল বাইক গুলো দেখতে অনেক গর্জিয়াস হয় সেই সকল বাইকগুলো নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর আপনার যদি উদ্দেশ্য থাকে আপনি শুধুমাত্র যাতায়াত করার জন্য বাইক নেবেন এবং প্রয়োজনের জন্য সে ক্ষেত্রে আপনি কম দামের বাইক নিতে পারেন।

যে সকল বাইক গুলো কম তেলে অন্যান্য বাইকে তুলনায় অধিক রাস্তা চলা যায় সেই সকল বাক্য নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বাইকের দামও কম লাগবে এবং অন্যান্য বাইকের তুলনায় বেশি অতিক্রম করতে পারবে একই তেলে। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচও তুলনামূলকভাবে অনেক কমে যাবে। তাই বাইক কেনার পূর্বে বাইক ব্যবহারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে তারপরে বাইক কিনুন।

মাইলেজের দিকে নজর

আমরা বর্তমান সময়ে মোটরসাইকেল বা বাইক ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আমরা যদি বাইক নিয়মিত ব্যবহার করতে চাই তার পাশাপাশি যদি ব্যয় সীমিত করতে চাই তাহলে আমাদের মাইলেজের দিকে নজর রাখতে হবে।

কারণ, যদি আমাদের প্রতিদিনের চলাচলের দূরত্ব বেশি হয়ে থাকে তবে আমাদের বাইকগুলোর মাইলেজের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে। তবে মাইলেজ ভালো মানে বাইক অনেক ভালো এটা নয়।, বাইক ভালো হওয়ার জন্য অন্যান্য আরো আনুষঙ্গিক জিনিস রয়েছে, বিশেষ করে ইঞ্জিন।

রিসেল ভ্যালু

আমরা অনেকেই রয়েছে যারা বাইক শখের বসে কিনে থাকি। তাই অন্য আরেকটি নতুন মডেলের বাইক আসলে আমরা আবার সেটা বিক্রয় করে পুনরায় নতুন বাইক কিনি। যেহেতু আমরা ঘন ঘন বাইক পরিবর্তন করি সুতরাং আমাদের রাসেল ভ্যালু বা পুনঃ বিক্রয় মূল্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সে ক্ষেত্রে আমাদের বাইক কেনার পূর্বে রিসেল ভ্যালুর দিকে নজর রাখা জরুরি। সে ক্ষেত্রে আমাদের পুরনো বা কয়েক বছর ব্যবহার করার পরও বাইকগুলো যেন ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। এ থেকে আমরা পুরনো বাইক হওয়ার তুলনায় ও ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।
Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url