ব্রিটেন কৃষি ভিসা মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় (অবিশ্বাস্য হলেও সত্য)

ব্রিটেন কৃষি ভিসা মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়

ব্রিটেন কৃষি ভিসায় মাত্র ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে যাওয়া সম্ভব। অনেকেরই স্বপ্ন দেশ ইউকে। আর সেই দেশে এখন মাত্র ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে যাওয়া সম্ভব। এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে ব্রিটেন কৃষি ভিসা নিয়ে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে যাবেন এই সমস্ত তথ্য গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ব্রিটেন কৃষি ভিসা মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়

সিজনাল ভিসা বা কৃষি ভিসায় প্রায় ৫৫ হাজার বিদেশিকে ইউকে গভারমেন্ট রিকোর্ট করতে যাচ্ছে এবং আগামী অর্থবছরে এবং আগামী সিজনে তাদেরকে রিকোর্ট করা হবে। এজন্য ছয়টি কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দেয়া আছে। এই ছয়টি কোম্পানি তাদেরকে রিকোর্ট করবেন। এক্ষেত্রে মাত্র ২৫৯ পাউন্ড খরচ হবে। একজন এপ্লিকেন্ট এর ইউকেতে আসার জন্য ১২৭০ পাউন্ড এর মধ্যে মেইনটেনেন্স দেখানো লাগতে পারে যদি স্পন্সর কোম্পানি আপনার মেইনটেনেন্স না দিতে চায়। তার মনে হচ্ছে আপনি ২৫৯ পাউন্ডে আসতে পারেন যদি আপনার মেন্টেনেন্স ওই কোম্পানি দেয়।

এই ভিসাটি কেন দেওয়া হচ্ছে

ব্রেক্সিটের পরে ব্রিটিশ ইকোনমিতে অনেক শ্রমিক সংকট দেখা দিচ্ছে যে কারণে এই স্কিম চালু করেছিল ২০১৯ সালে। তখন মাত্র ২,৫০০ জনকে এ দেশে এই ভিসা দেওয়া হয়েছিল। এরপরে এটা বাড়তে বাড়তে গত বছর প্রায় ৩৮,০০০ এই স্কিমের ভিসা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত অর্থ বছরে যেটা ৩৮ হাজারের কথা বলা হয়েছিল সেটা আগামী অর্থ বছরের জন্য ৪৫ হাজার + ১০,০০০ টোটাল ৫৫ হাজার ভিসা দেয়া হবে হবে বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন।

তিনি গত সপ্তাহে কিছু খামার পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন ইতিমধ্যে আমরা ৪৫ হাজার ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এগ্রিকালচার এবং সিজনাল ওয়ার্কারের জন্য। এখন সেখানে আরো ১০ হাজার বাড়ানো হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসার মেয়াদ কতদিন

এই ভিসায় যারা আসবেন তারা ৬ মাসের ভিসা পাবেন। ছয় মাসের ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে আপনারা এই কাজের জন্য আসতে পারবেন। ছয় মাস শেষ হলে পুনরায় আপনাকে আবার দেশে ফিরে যেতে হবে। পরবর্তী সময়ে আপনি আবার ভিসা নিয়ে আসতে পারবেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসায় কি কি কাজে রয়েছে

আপনারা যারা ব্রিটেন কৃষি ভিসায় ৩৫,০০০ টাকা দিয়ে যেতে যাচ্ছেন। তারা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন যে সেখানে গিয়ে আপনারা কেমন ধরনের কাজ করবেন। কৃষি ভিসায় গিয়ে যে সকল কাজগুলো করতে হবে তা হল।
  • তাদের কাজ হবে মেইনলি ফ্রুট পিকিং করা
  •  পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করা
  • ভেজিটেবল ফার্মে কাজ করা
  • ড্রাইভার
এছাড়াও অন্যান্য এগ্রিকালচারাল ওয়ার্ক এর কাজ রয়েছে। আপনারা যারা ব্রিটেন কৃষি ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা মূলত সেখানে গিয়ে এই কাজগুলো করে থাকবেন।

ব্রিটেনে শ্রমিক সংকটের কারণ

এটা হচ্ছে এরকমের যে ব্রিটিশ ইকোনোমি যেখানে সবসময়ই কিছু দেশ আছে। যেমন, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এসব দেশ থেকে আপনার একটা সিজনে ওয়ার্কার আসতো সব সময় এবং বিভিন্ন কারণে। এখন তারা ফ্রি মুভমেন্ট আসতে পারছে না। যে কারণে বৃটেনে একটা সংকট দেখা যাচ্ছে শ্রমিকদের। এজন্য ছয় মাসের ভিসা দিয়ে তারা ৫৫ হাজারের মতো মানুষকে নিয়ে আসবেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসায় যে সকল নিয়ম রয়েছে

ব্রিটেন কৃষি ভিসায় যেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। কারণ এই নিয়মগুলো আপনার জন্য জানা জরুরী। যে সকল কন্ডিশন রয়েছে এই ভিসাতে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  1. প্রথম কন্ডিশনে তারা রেখেছে যে বা যারা এই ভিসা নিয়ে যাবে তারা সেখানে সেটেল হতে পারবে না।
  2. কাজ শেষ হলে পরবর্তী সময়ে তাদের পুনরাই দেশে আসতে হবে।
  3. পরবর্তীতে তারা যদি আবার স্পন্সর পায় তাহলে আবার কাজ করার জন্য যেতে পারবে।
  4. ভিসা ফি বাবদ কোন টাকা কাউকে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
  5. যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে যে কোম্পানি ছয়টি রয়েছে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করবেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ হবে

ব্রিটেনে কৃষি ভিসায় যেতে খরচ হবে ২৫৯ পাউন্ড। যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এর চেয়ে বেশি টাকা খরচ হবে না। যদি কোন এজেন্সি আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা দাবি করে তবে তার বিরুদ্ধে বা তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানির ওয়েব সাইটে মন্তব্য করতে পারেন বা জানাতে পারেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসা কিভাবে পাবেন

এই ভিসা পেতে আপনার এক্সট্রা কোন খরচ নেই মাত্র ২৫৯ পাউন্ড ভিসার ভিসা ফি। হোম অফিসের এবং কাউকে কোন টাকা দিতে হয় না। এখানে প্রসিড প্রসিডিসর হচ্ছে যে ছয়টি কোম্পানিকে দায়িত্ব
দেওয়া হয়েছে এবং যেই ছয়টি কোম্পানির রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে রয়েছে।

আপনি তাদের ওয়েবসাইটে বা তাদের সাথে যোগাযোগ করে অ্যাপ্লিকেশন করবেন। তারপরে তারা আপনার ইন্টারভিউ নেবে এবং আপনার সিভি দেখবে তারপরে তারা যদি আপনাকে স্পন্সারশীপ দিতে রাজি হয় তখন আপনি ২৫৯ পাউন্ড দিয়ে হোম অফিসে এপ্লাই করবেন।

মেন্টেনেন্স কত টাকা দেখাতে হবে

তারা যদি মেন্টেনেন্স আপনাকে এলাউ করে যে তারাই আপনার মেন্টেনেন্স করবে। তখন আপনার আর কোন খরচ নেই। শুধুমাত্র ২৫৯ পাউন্ড খরচ হবে। আর যদি তারা বলে না তারা মেন্টেনেন্স দিতে পারবে না। আপনি আসার পর আপনার থাকা খাওয়া নিজে ম্যানেজ করতে হবে তখন আপনাকে মেন্টেনেন্স ১২৭০ পাউন্ড দেখাইতে হবে।

ব্রিটেন কৃষি বিষয়ে বেতন কত

এখানে আপনারা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন প্রায় ১৫০০ পাউন্ড থেকে ২০০০ পাউন্ড পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। যা অন্যান্য দেশের কাজের তুলনায় অনেক বেশি। যেহেতু অনেক টাকা বেতন সুতরাং এই ভিসা নিয়ে যাবার জন্য অনেক বেশি মানুষ আগ্রহী রয়েছেন।

কোন ছয়টি কোম্পানি রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন

যে ছয়টি এজেন্সি বা কোম্পানি রিক্রুটমেন্ট এর দায়িত্ব রয়েছে তারা হলো।
  1. এজির রিক্রুটমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট
  2. কন্টকটিয়া লিমিটেড
  3. কনকুটিয়া লিমিটেড
  4. ফ্রুটফুল
  5. জবস রিপিপল লিঃ
  6. লেবার সলিউশনস
এই কোম্পানিগুলো সম্পর্কে আপনি ওয়েবসাইটে সার্চ দিলে পাবেন। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন।

ব্রিটেন কৃষি ভিসা মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়

ব্রিটেন কৃষি ভিসা সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

তবে কোন কোন দেশ এটার সাথে কোন কোন দেশে রিপোর্ট করবে সেটা ইন্ডিভিজুয়াল পলিসি আপনার কোম্পানি থেকে জানতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ডিটেলস পলিসি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। কোন নির্দিষ্ট করে কোন দেশের জন্য কোটা দেয়া নেই। গত বছরে ইন্দোনেশিয়া থেকে অনেক মানুষ এসেছে এবং সেখানে ইন্দোনেশিয়া কিছু নেতিবাচক লেনদেনের খবর পাওয়া গিয়েছিল।

যে কোম্পানি নেতিবাচক কাজ করেছিল সে কোম্পানিকে তারা লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। এখন ও নির্দিষ্ট করে কোটা দেয়া হয়নি। এশিয়ার কিছু দেশ থেকে আসবে ইউরোপ থেকে কিছু আসবে আর নিউজিল্যান্ড বা অন্যান্য থেকে কিছু আসবে। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোন দেশের জন্য কোটা দেয়া নেই। সিজনাল ভিসা বা কৃষি ভিসায় টাকা লেনদেনের কোন সুযোগ থাকবে না।

ব্রিটেন কৃষি বিষয়ে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা চাইলে করণীয় কি

কেউ যদি এই ভিসার ক্ষেত্রে টাকা চায় তাহলে করণীয় কি বা হোম অফিসকে জানানোর উপায় কি এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চান।

কোন এজেন্সি বা কোন ব্যক্তি যদি আপনার কৃষি ভিসা বা যে কোন ভিসার জন্য কোন এক্সট্রা টাকার লেনদেন করে। সেটা হোম অফিস নির্ধারিত ফি ছাড়া। তখন আপনি চাইলে ভিসার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনি রিপোর্ট করতে পারেন। রিপোর্টিং করার ইমফোর্সমেন্ট এবং ইউকে বর্ডার এজেন্সির আলাদা আলাদা ইমেইল এড্রেস আছে ফোন নাম্বার আছে আপনি চাইলে যেকোনো সময়ই রিপোর্ট করতে পারেন যাতে কেউ এই সিস্টেমটাকে ব্যবহার করতে না পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url