তিউনিসিয়া কাজের ভিসা, বেতন (আপডেট তথ্য ২০২৩)

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা, বেতন (আপডেট তথ্য ২০২৩)


আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা প্রতিবারের মতো আরেকটি দেশ  সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। আজকের এই কনটেন্টে তিউনিশিয়া কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি তিউনিশিয়া কাজ করতে যেতে চান তাহলে আজকের এই কনটেন্ট আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

কারণ, এই দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের কনটেন্টে তুলে ধরা হবে। এই সকল তথ্যগুলো থেকে আপনার কোন উপকারে আসতে পারে। সুতরাং আপনি যদি এই দেশ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পুরো কনটেন্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য চালু রয়েছে। অনেকেই বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তেমনি ভাবে তিউনিসিয়াতে ও অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ করতে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তিউনিসিয়ার ভিসা প্রসেসিং করা যাচ্ছে।

পূর্বে বাংলাদেশ থেকে তিউনিসিয়া ভিসা প্রসেসিং করা যেত না, ভারত বা পাকিস্তান  থেকে ভিসা প্রসেসিং করতে হতো। বাংলাদেশের যে সকল নিবন্ধিত এজেন্সি রয়েছে সে সকল এজেন্সি গুলোর মাধ্যম দিয়ে আপনারা তিউনিসিয়া যেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে তিউনিসিয়া কাজের ভিসা সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল।


তিউনিসিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে তিউনিসিয়া যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এদেশ থেকে ইতালি যাওয়া খুবই সহজ যে কারণে মানুষ মূলত এই দেশে যাবার পরে কিছুদিন কাজ করে তারপরে ইতালি বা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তিউনিশিয়া যেতে হলে এজেন্সি সাহায্য নিতে হবে। যে সকল এজেন্সি গুলো বৈধ সেই সকল এজেন্সি গুলোর সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই আপনারা তিউনিশিয়া কাজ করার জন্য যেতে পারবেন।

তিউনিসিয়া কাজের বেতন কত

বিভিন্ন কাজের ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম বেতন হয়ে থাকে। কোম্পানি ভেদে ও বেতন পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে একজন শ্রমিক এদেশে কাজ করে প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন প্রায় ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ এবং ১.৫ লক্ষ টাকার মতো। কাজের দক্ষতা এবং সময়ের উপর নির্ভর করে বেতন আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিউনিসিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

তিউনিশিয়া যেতে হলে বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যে সকল ডকুমেন্টস গুলো ছাড়া আপনি এদেশে যেতে পারবেন না। ডকুমেন্টসগুলো অবশ্যই বৈধ হতে হবে। ডকুমেন্ট ছাড়া ভিসা পাওয়া সম্ভব না সুতরাং ডকুমেন্টস বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে তার সম্পর্কে।

  1. প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। পাসপোর্টে সর্বনিম্ন ৬ মাস বা তার বেশি মেয়াদ থাকতে হবে। দুই বছর এর বেশি থাকা উত্তম
  2. নির্ভুলভাবে ভিসা ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  3. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এর প্রয়োজন হবে। ছবিটি অবশ্যই সদ্য তোলা হতে হবে।
  4. পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে সেই পাসপোর্ট সহ নিতে হবে।
  5. ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। অবশ্যই যে ব্যাংকে নিয়মিত লেনদেন করা হয় সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের শেষ ছয় মাসের রিপোর্ট দেখাতে হবে।
  6. ট্রেড লাইসেন্স।
  7. সকল ডকুমেন্টস ইংরেজিতে অনুবাদ হতে হবে।
  8. এনআইডি কার্ড এবং জন্ম সনদ এর প্রয়োজন হবে।
  9. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  10. মেডিকেল রিপোর্ট।
  11. ইনভিটেশন লেটার (যদি থাকে)।
উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো থাকলেই আপনি মূলত বাংলাদেশ থেকে তিউনিশিয়া যেতে পারবেন। যদি আরও অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় আপনি যে মাধ্যম দিয়ে বা যার মাধ্যম দিয়ে যাবেন তারা আপনাদেরকে পূর্বেই সবকিছু জানিয়ে দেবে।

তিউনিসিয়ায় বাঙালিরা কি কি কাজ করেন

তিউনিশিয়ায় গিয়ে বাঙালিরা অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরিতে কাজ করেন। বাঙালিরা বিদেশ গিয়ে যে সকল কাজ করেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • রেস্টুরেন্ট
  • সেফ
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ড্রাইভার
  • ক্লিনার
  • ফুড প্যাকেজিং
  • হোটেল
  • কনস্ট্রাকশন
এছাড়া ও আরো অন্যান্য কাজ ও করে থাকেন।

তিউনিসিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

তিউনিসিয়া টুরিস্ট এর জন্য অনেক দর্শনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। তিউনেশিয়াতে গিয়ে বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। বেশিরভাগ কর্মীর চাহিদা রয়েছে রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদনের জায়গা গুলোতে। এছাড়াও ড্রাইভিং বিষয়ও তাদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

আপনারা যারা তিউনিসিয়াতে কাজ করতে যাবেন বলে ভাবছেন তারা যে কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে কাজের জন্য যেতে পারেন। যাতে করে আপনি খুব দ্রুত সময়ে ভালো কাজ করতে পারবেন এবং অন্যান্যদের তুলনায় বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য

বিগত বছরগুলোতে তিউনিসিয়া যেতে হলে ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যেতে হতো অথবা অন্য দেশের মাধ্যমে। বাংলাদেশ থেকে কোন এম্বাসি ছিল না তিউনিসিয়া যাবার ক্ষেত্রে। পূর্বে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে ভিসা ব্যবস্থা করা হতো কিন্তু বর্তমানে সেগুলো বন্ধ রয়েছে। আর বাংলাদেশের এম্বাসি থেকে এখন তিউনিসিয়া যাওয়া যাচ্ছে।

তবে যাবার পূর্বে আপনারা এজেন্সি সম্পর্কে সঠিকভাবে খোঁজ খবর নিবেন। এবং যার মাধ্যমে আপনি বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেবেন। কোন রকম দালাল চক্রের সাথে কোন সন্ধি করবেন না। তা না হলে পরবর্তী সময়ে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

তিউনিসিয়ায় কোন কাজের বেতন বেশি

বিভিন্ন রকম কাজ রয়েছে যে সকল কাজগুলোর বেতন একই রকম নয়। কিছু কাজের বেতন কম এবং কিছু কাজের বেতন বেশি রয়েছে। মূলত মানুষ বিদেশে যাই অর্থ উপার্জন করার জন্যই। যে কারণে তাদের সকলের জানা উচিত কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি এবং কোন কাজগুলোর বেতন বেশি এ সম্পর্কে।

যে কাজগুলোর বেতন বেশি আপনি যদি সেই কাজের উপর দক্ষ হয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই যে সকল কাজগুলোর বেতন বেশি সেই সকল কাজগুলো উল্লেখ করা হলো।
  • ড্রাইভিং
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা, বেতন (আপডেট তথ্য ২০২৩)

তিউনিশিয়া কাজের ভিসা আবেদন

তিউনিসিয়া কাজের ভিসা আবেদন আপনারা বর্তমান সময়ে খুব সহজেই করতে পারবেন। বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে মানুষ প্রেরণ করে থাকেন। সেই সকল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনারা বাংলাদেশ থেকে তিউনিশিয়া যেতে পারেন। পাকিস্তানের ও এর এজেন্সি রয়েছে আপনি পাকিস্তান থেকে চাইলেও তিউনিশিয়া যেতে পারবেন।

বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরি ভিসা নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে আপনি যদি সেখানে গিয়ে কাজ করেন তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাবেন। আর যদি আপনি ঘুরতে যান তাহলে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন বিজনেস ভিসা নিয়ে যেতে পারেন ইত্যাদি। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

তিউনিসিয়ায় কত ঘন্টা কাজ করতে হয়

একজন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে থাকে আট ঘন্টা থেকে বার ঘন্টা পর্যন্ত। ৮ ঘণ্টা বেসিক ডিউটি আর আট ঘন্টার ওপরে যতক্ষণ কাজ করবে সেগুলো ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হবে। অনেক কোম্পানিতে ভিন্ন ভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা থাকে। কোন কোম্পানিতে সামান্য পরিমাণ বেশি এবং কোনটাতে কম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যে কোম্পানিতে বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেই কোম্পানিতে কাজ করা অত্যন্ত সহজ।

তিউনিসিয়ায় ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে

আপনি যে দেশেই কাজ করতে যাবেন না কেন যাওয়ার পূর্বে আপনারা কতটুকু কাজ করবেন। ওভারটাইম করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে কিনা এই সকল তথ্যগুলো জেনে নিতে চান। কারণ, আপনি সে দেশে যাচ্ছেনই অর্থ উপার্জন করার জন্য। সুতরাং আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই দেশটিতে মূল কাজ করার পাশাপাশি ওভারটাইম কাজ করার ও সুযোগ রয়েছে। ওভারটাইম কাজ করার জন্য এক্সট্রা বেতন প্রদান করা হয়।

তিউনিসিয়া টাকার মান কত

বাংলাদেশের তুলনাই তিউনিসিয়ার টাকার মান বেশি। তিউনিসিয়ার ১ দিনার সমান বাংলাদেশের মুদ্রার ৩৫ . ১২ টাকা। যদি ১০০ তিউনিসিয়ান দিনার হয় তাহলে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩,৫১২ টাকা হবে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি বাংলাদেশের তুলনায় তিউনিশিয়ার টাকার মান বেশি।

FQA

তিউনিসিয়া ভিসা চালু আছে?

উত্তরঃ- বর্তমান সময়ে তিউনিসিয়া ভিসা চালু রয়েছে।

তিউনিসিয়ায় কাজের ভিসা পাওয়া যায়?

উত্তরঃ- এদেশে সকল ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

কমেন্ট

Previous Post Next Post