নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা, যাবার খরচ ও বেতন কত (বিস্তারিত তথ্য ২০২৩)

নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা, যাবার খরচ ও বেতন কত

নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা, যাবার খরচ এবং বেতন ২০২৩ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনারা অনেকেই বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য যেতে চান। যে কারনে যাওয়ার পূর্বে আপনারা বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

নিউজিল্যান্ড পরিচিতি

নিউজিল্যান্ড ওশেনিয়া মহাদেশে অবস্থিত একটি দেশ। এই দেশটির রাজধানীর নাম ওয়েলিংটন এবং বৃহত্তম নগরী অকল্যান্ড। দৃষ্টির মোট আয়তন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ২১ বর্গ কিলোমিটার। দেশটিতে বর্তমানে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ২১৩ জন।

নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি কাজ করার জন্য যাচ্ছেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা। বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে বাইরের দেশে কাজ করতে যাচ্ছেন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করার লক্ষ্য নিয়ে। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা নিউজিল্যান্ডে যেতে চান।

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যে সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন তা হল। নিউজিল্যান্ড ভিসার দাম কত, নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে, নিউজিল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, বেতন কত ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করা হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে।

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

নিউজিল্যান্ড যেতে খরচ হয় মূলত ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। অনেকেই হয়তো ভাবছেন এত কম বেশি কেন করা হয়। যারা সকল প্রসেস নিজে নিজেই সম্পন্ন করেন তাদের ক্ষেত্রে খরচ হয় তিন লক্ষ টাকার মত। আর যারা এজেন্সি অথবা দালালদের মাধ্যমে যান তাদের খরচ হয় প্রায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কম এবং বেশি টাকা খরচ হতে পারে।

বিভিন্ন এজেন্সি এবং বিভিন্ন দালাল বিভিন্ন রকম টাকা চাইতে পারে। তবে আপনারা যাওয়ার পূর্বে আপডেট তথ্য নিয়ে যাবেন। কত টাকা খরচ হয় কত টাকা এজেন্সিকে দিতে হয় এই সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে জানবেন। যাতে করে আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা নিতে না পারে।

নিউজিল্যান্ডে কাজের বেতন কত

নিউজিল্যান্ডে কাজের বেতন প্রতি ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডে সপ্তাহে সর্বনিম্ন ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। ৪৮ ঘণ্টার পরে যতটুকু কাজ করতে পারবেন বা যতটুকু কাজ হবে তা পুরোটাই ওভারটাইম এর মধ্যে পড়বে। আর ওভারটাইম কাজ করার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত বেতন প্রদান করা হবে।

বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশী টাকায় প্রতি মাসে বেতন হয়ে থাকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার উপরে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে নিউজিল্যান্ডে অনেক বেশি পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।

নিউজিল্যান্ডের ভিসা কিভাবে পাব

বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যে সকল এজেন্সি গুলো বিভিন্ন দেশের ভিসা দিয়ে থাকে। আপনি সেই সকল এজেন্সি গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। বাংলাদেশে ঢাকাতে যে বুয়েসেল রয়েছে সেই বুয়েসেলের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন।

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত হলো বুয়েসেল। এখানে কোনরকম দালাল এর কথায় কাজ হয় না আবার কেউ ঘুষ খেতে পারে না। বুয়েসেল একটি বিশ্বযুদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আপনারা খুব সহজেই বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। এখান থেকে আপনারা ইচ্ছা করলে ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড ও খুব সহজে যেতে পারবেন।

নিউজিল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসে যেতে বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যে কোন দেশে যাবার ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নিউজিল্যান্ড ও তার ব্যতিক্রম নয়। যে সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হবে নিউজিল্যান্ড যাবার ক্ষেত্রে সেই সকল ডকুমেন্টগুলো উল্লেখ করা হলো।
  • প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে, পাসপোর্টে অবশ্যই ছয় মাস এর বেশি মেয়াদ থাকতে হবে
  • যেহেতু আপনি কাজের ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড যাবেন সুতরাং আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ২ বছরের বেশি হওয়া উত্তম।
  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন পুরনকৃত ফর্ম এর প্রয়োজন হবে।
  • অতঃপর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অবশ্যই ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এ শেষ ছয় মাসের হতে হবে এবং যে ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এমন ব্যাংক একাউন্ট এর স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
  • করোনার টিকা কার্ড
  • সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
মূলত এই সকল ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে নিউজিল্যান্ড যাবার ক্ষেত্রে। অবশ্যই ডকুমেন্টগুলো বৈধ হতে হবে। তাছাড়া আপনারা ভিসা পাবেন না।

আরো জানতে ভিজিট করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url