লিবিয়া কাজের ভিসা 2023 | লিবিয়া টু ইতালি | লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে |
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে লিবিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা অনেক সময়ই লিবিয়া সম্পর্কে অনেক রকম তথ্য জানতে চান। যেমন, লিবিয়া কাজের ভিসা, লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে, লিবিয়ায় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন, ইত্যাদি আজকে আমরা এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সকলে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ। চলুন জেনে নেই এই সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
লিবিয়া কাজের ভিসা 2023
আপনারা অনেকেই রয়েছেন বাইরে কাজ করতে যেতে আগ্রহী।, যেমন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, কাতার, ইত্যাদি স্থানে কাজ করতে যেতে চান। তেমনি অনেকেই রয়েছেন যারা লিবিয়া কাজ করতে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। যে কারণে তারা লিবিয়া সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন সময়ে গুগল অথবা ইউটুবে সার্চ দিয়ে থাকে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে লিবিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যেন খুব সহজেই লিবিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন সে কারণে।
লিবিয়াতে কি বাংলাদেশি কর্মী নিচ্ছে
হ্যাঁ বন্ধুরা বর্তমানে লিবিয়াতে বাংলাদেশী কর্মী নিচ্ছে। আপনারা প্রায়শই একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন যে লিবিয়াতে গিয়ে সত্যি কি বাংলাদেশে নাগরিকরা কাজ পায় নাকি সেখানে গিয়ে শুধু নির্যাতন এবং অত্যাচারের শিকার হয়। প্রশ্নটি আসার কারণ হলো লিবিয়াতে যে অবৈধ প্রবাসীদেরকে গ্রেফতার করা হয় তাদের অধিকাংশই হলো বাঙালি নাগরিক।
তবে স্বস্তিদায়ক খবর যে বর্তমানে লিবিয়াতে গিয়ে আপনি খুব সহজেই শ্রমিক ভিসায় কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অনেক সচেতন থাকতে হবে যেন আপনাকে কোন দালাল বা প্রতারকচক্র গুলো তাদের নির্দিষ্ট কোন ফাঁদে না ফেলতে পারে।
লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যেতে হলে আড়াই লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে অনেক সময় দেখা যায় লিবিয়ার যাওয়ার জন্য যে মানুষগুলো প্রস্তুত হয় তাদের দালাল চক্র নানাভাবে বিতাড়িত করে অধিক টাকার চুক্তিবদ্ধ করে থাকে। তা একজন মানুষের ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়।
তবে আপনি যদি সরকারিভাবে লিবিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে ৭০ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রসেস করা সম্ভব। যদিও সরকারিভাবে যে বিষয়গুলো আসে সেগুলো খুবই সীমিত।
লিবিয়ায় কাজের বেতন কত
লিবিয়ায় একজন বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে প্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০হাজার টাকা উপার্জন করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি টাকা উপার্জন করে থাকেন। এভারেজ ধরতে গেলে একজন শ্রমিক মাসে ইনকাম করে থাকেন ৫০ হাজার টাকার মতো। কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশী হয়ে থাকে।
তবে লিবিয়াতে গিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ রাখতে হবে যে আপনি কোন ধরনের মানুষের কাজ করছেন। কারণ আপনারা ইতিমধ্যে হয়তো জানেন যে লিবিয়াতে প্রচুর পরিমাণে অপরাধ সংঘটিত হয়, তাই অতিরিক্ত বেতনের আশায় যে কোন মানুষের সঙ্গে কাজের যুক্তিতে যাওয়া ঠিক হবে না। অল্প বেতন হলেও একটি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি অথবা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবেন।
লিবিয়ায় কোন কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন
আপনারা অনেকেই অনেক সময় জানতে চান লিবিয়ায় যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে। আমাদের জন্য ডকুমেন্ট একটি ইম্পরট্যান্ট বিষয়। ডকুমেন্টস এর ভুল হওয়ার কারণে ভিসা বাতিল হয়ে যায়। অথবা ভিসা পাওয়া যায় না। অনেক সময় অনেক রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। যে কারণে আমাদের সকলের উচিত সকল ডকুমেন্টস গুলো সম্পর্কে জানা। চলুন জেনে নেই কোন কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন সে সম্পর্কে।
- প্রথমত আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে।
- সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
- করোনার টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
- অর্থ আদান-প্রদান হয় এমন ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন হবে।
মূলত এই সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজনে হয়ে থাকে বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে। যদি আরো কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন অথবা যার মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাকে জানিয়ে দেবে।
বাংলাদেশিরা লিবিয়ায় কি কি কাজ করেন
আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন লিবিয়ায় গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে।চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে, তবে লিবিয়াতে গিয়ে একজন নাগরিক যে কাজ করুক না কেন তার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে লিবিয়া থেকে উন্নত কোন দেশে অভিগমন করা।
- রাজমিস্ত্রির কাজ
- কামারের কাজ
- হোটেলের কাজ
- টাইলসের কাজ
- বাসা বাড়ির কাজ
- ঝালাইয়ের কাজ