অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা 2023 | অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত |
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা 2023
প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম। আজ আপনাদের সাথে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব। অস্ট্রেলিয়ায় ছোট একটি মহাদেশ। তবে এ মহাদেশ অবস্থিত প্রতিটি দেশে বেশি উন্নত। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটা দেশ নিজস্ব গতিতে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বেশ অনুপ্রেরণা রয়েছে।
আজকে আমরা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। অনেকের স্বপ্ন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে লেখাপড়া করবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে তারা অস্ট্রেলিয়া যেতে পারে না। আজকে আমরা সে সকল বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
আজকে আমরা জানবো অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ কত হয়, এছাড়াও কোন প্রসেস গুলোর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়, কোন প্রসেস গুলোর মাধ্যমে ভিসা জটিলতা বেশি আজকের আলোচনা। এছাড়াও জানতে পারবেন স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কোন কাজগুলো পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করলে সর্বোচ্চ কত ঘন্টা কাজ করা যায়।
তাহলে আসুন আমরা অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানি। তবে অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি সুন্দর ভাবে পড়তে হবে। তবে আপনি সুন্দর ভাবে অস্ট্রেলিয়া ভিসা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত
প্রথমে শুরু করা যাক ভিসার খরচ নিয়ে, এশিয়ার দেশগুলো থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আগ্রহীদের বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। অর্থসংকটে অনেকেই এরপর থেকে ছিটকে পড়ে।
স্বাভাবিকভাবে 8 থেকে 9 লক্ষ টাকা হলে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সম্ভব। তবে অনেকেই সকল বিষয়ে সচেতন না থাকার কারণে টাকার পরিমাণটা বেড়ে যায়। দালাল চক্র ও প্রতারক এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয় এবং বেশিরভাগ স্টুডেন্ট প্রতারিত হয়। তাই অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে দালালের কোন প্রয়োজন নেই। 8 থেকে 9 লক্ষ টাকার মধ্য দিয়ে আপনি নিজেই আপনার ভিসা প্রসেস করতে পারবেন।
অনেকেই দালাল চক্রের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হয় , তাদেরকে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে ভিসা প্রসেস করার জন্য অনেক প্রতারিত হয় এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন তাদের বিফলে চলে যায়। তাই দালাল চক্রের মাধ্যমে ভিসা প্রসেস করার চিন্তাও কখনো মাথায় আনবেন না।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
এবার আসুন অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার জন্য কোন ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজনে সে সম্পর্কে জানা যাক। অস্ট্রেলিয়া বর্তমান বিশ্বের উন্নত একটি দেশ। তাই এখানে যাওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টস প্রয়োজন। ছোটখাটো ঝামেলার জন্য অনেকেরই ভিসা প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়।
তাহলে আসুন জেনে নেই কোন ডকুমেন্ট সবথেকে বেশি প্রয়োজন,- আপনি অস্ট্রেলিয়ায় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান, সেই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি চিঠি প্রয়োজন হবে।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে ।পাসপোর্টে কমপক্ষে এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে।উল্লেখ্য যে ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা জরুরি।
- দেশের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট রয়েছে সেই সকল সার্টিফিকেট এর ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।
- আইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম 6.5 থাকতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে এই কোর্সটি করা বাধ্যতামূলক।
- আপনার এবং আপনার বাবা-মা আর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- ল্যাব থেকে উঠানো পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- যেকোনো দেশের জন্য আমাদের অবশ্যই মেডিকেল রিপোর্ট থাকা জরুরি।
- Covid-19 সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য লক্ষ্যণীয় বিষয়
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখে থাকি। তবে এগুলোর আগে আমাদের প্রয়োজন আমাদের নিজস্ব কিছু দিক খেয়াল করা। যেমন অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা টা অবশ্যই ভালো থাকতে হবে। ইংরেজিতে বেশ ভালো একটা দক্ষতা থাকা লাগবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া গিয়ে যদি আপনি ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন তাহলে আপনাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। তাই অর্থনৈতিক এবং ভাষাগত দিক বিবেচনা করে ভিসার জন্য আবেদন করা জরুরি।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি কত
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেস অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। টাকা পেমেন্ট করা থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে। আবেদন করার জন্য ফি লাগবে 570 ডলার। তবে ডলারের মান যেহেতু ওঠানামা করে সেহেতু বাংলাদেশি টাকায় কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে সম্ভাব্য যে 570 থেকে 600 ডলারের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের সময়
অস্ট্রেলিয়ায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেগুলোতে মূলত দুইটি সেশন এর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি এবং জুলাই মাসে সেশন শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পর সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা অথবা মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। লেটার পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এ বিষয়ে আপডেট তথ্য গুলো রাখবেন। কারণ সিজন শেষ হয়ে গেলে আর ভর্তি হতে পারবেন না।
স্টুডেন্ট ভিসায় যেয়ে কি কাজ করা যায়
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে আমরা সেখানে কাজ করতে পারব। তাদের জন্য সুখবর। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের এই বিষয়ে অনেক সচেতন। অস্ট্রেলিয়াতে যে শিক্ষার্থী গুলো আছে তাদের জন্য পার্টটাইম কাজ করার জন্য সেদেশের সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ করে দিয়েছেন। যে কোনো শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পাশাপাশি সেখানে কাজ করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার সবথেকে বড় সুবিধা এটা।ইন্দোনেশিয়া টুরিস্ট ভিসা | ইন্দোনেশিয়া টুরিস্ট ভিসা ফি কত | ইন্দোনেশিয়া ভিসা প্রসেস |
অস্ট্রেলিয়ায় কত ঘন্টা পার্ট টাইম কাজ করা যায়
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যায় এবং পার্ট টাইম জব করতে চাই তাদের জন্য সেদেশের সরকার অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে বেশি সেখানে কাজ করা যাবে না। অস্ট্রেলিয়া সরকার একটি শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে 40 ঘণ্টা কাজ করার জন্য অনুমোদন দেয়। শিক্ষার্থীর জন্য এটা অনেক বড় সময়। লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ গুলো করে নিজের খরচ চালিয়ে দেশে পিতা-মাতার কাছে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে শিক্ষার্থীরা।
অস্ট্রেলিয়ায় একজন স্টুডেন্ট এর খরচ কেমন হয়
অস্ট্রেলিয়ায় একজন স্টুডেন্ট এর খরচ কেমন সে বিষয়ে জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে সাথে সাথে কাজ পাওয়া যায় না। তাই নিজেকে চলার জন্য পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অস্ট্রেলিয়ায় একজন শিক্ষার্থীর প্রতিমাসে 1600 ডলার খরচ হয়। তবে আপনি কতটা সাশ্রয়ী সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার খরচ। যদি আপনি অতিরিক্ত খরচ করেন তাহলে আপনার খরচ অনেক বেশি হবেই।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়ার পর করণীয় কি
অস্ট্রেলিয়া ভিসা পাবার পর বেশ কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখা দরকার। কেন আপনি একটি দেশ ছেড়ে অন্য একটি দেশে যাচ্ছেন একটি সমাজ ছেড়ে অন্য একটি সমাজে যাচ্ছেন। একটি সংস্কৃতি থেকে অন্য একটি সংস্কৃতির মধ্যে চাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার সরস্বতী সম্পর্কে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন।
তারা কোন খাবারগুলো বেশি পছন্দ করেন, তারা কোন পোষাক গুলো বেশি বেশি পড়ে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে আপনার চলাচল কিছুটা হলেও সহজ হবে। ভিসা পাবার পর ভিসা সংক্রান্ত যতগুলো ডকুমেন্টস রয়েছে প্রতিটা ডকুমেন্ট সুন্দর ভাবে সংরক্ষন করতে হবে। এমন কোন মানুষের কাছে বিষয় সম্পর্কিত তথ্য বলা যাবেনা যার সাথে আপনার পূর্বের শত্রুতা রয়েছে।
এয়ারলাইনস টিকেট, স্বল্প পরিমাণে টাকা কিছু ,শুকনো খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আপনাকে নানান দিক থেকে দালালরা প্রতারিত করার চেষ্টা করবেন সেদিকে খেয়াল না করাটাই সব থেকে বেশি উত্তম। দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ঝরে পড়ে গেছে।
উপসংহার: প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে কোন বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। সর্বোপরি আপনার অস্ট্রেলিয়া যাত্রা শুভ হোক এ আমাদের কামনা।