থাইল্যান্ডের দর্শনীয় কয়েকটি স্থানের নাম | থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানসমূহ |
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আপনারা যারা আমাদের টাইটেল দেখে পড়তে আগ্রহী হয়েছেন তারা অবশ্যই ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। যা থেকে আপনারা যারা ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তারা কিছুটা হলেও জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।
আপনারা যারা থাইল্যান্ডের যেতে চান তারা বুঝতে পারবেন কোন কোন জায়গা গুলোতে আপনাদের ভ্রমণ করা উচিত সে সম্পর্কে। কয়েকটি ভালো স্থানের নাম এবং তাদের সম্পর্কে আলোচনা করব আমরা। পুরো কন্টেন্ট টি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে অবশ্যই আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
থাইল্যান্ডের দর্শনীয় কয়েকটি স্থানের নাম
আপনারা যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন অথবা থাইল্যান্ডে ভ্রমণ এর উদ্দেশ্য যাবেন বলে ভাবছেন তারা অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানের নাম। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে দর্শনীয় কয়েকটি স্থানের নাম আলোচনা করব চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।
গ্র্যান্ড প্যালেস
এই স্থানটি বেশি পরিচিত হওয়ার কারণ সুন্দর স্থাপত্যের কারণে। এই প্যালেস টি পর্যটকদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাসাদটিকে চারটে প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত করা হয়েছে। মন্দিরটিতে প্রধান ভবনের সামনে রয়েছে সবুজ বর্ণের একটি পান্না বুদ্ধের মূর্তি দেখা যায়। এছাড়াও এখানে দেখা যায় রাজকীয় অলংকার, মুদ্রা জাদুঘর মুদ্রা, রাজ পোশাক, রাজদরবারে ব্যবহৃত অলংকারাদি ইত্যাদি। এই স্থানটিতে অনেক পুরনো জিনিস দেখা যায় যেগুলো বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই না।
ওয়াত অরুন
থাইল্যান্ডের ওয়াত অরুন কে ঊষার মন্দির বলেও পরিচিত করা হয়। এই স্থানটিতে পর্যটকরা অনেক বেশি ভিড় করে থাকেন। পর্যটকদের একটি আকর্ষণীয় স্থান ওয়াত অরুন। যখন সূর্য অস্ত যায় তখন মন্দিরটির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটি উপভোগ করা যায়। মন্দিরের পাশে একটি নদী রয়েছে সেখান থেকে মনিকে অনেক বেশি সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায় কারণ সেখানে থেকে অনেক বেশি সুন্দর লাগে মন্দিরটি দেখতে। এই স্থানের পরিবেশটি খুবই নির্মল ও শান্তিপূর্ণ যে কারণে পর্যটকদের মুগ্ধ করে থাকে।
আরো পড়ুন.....
ওয়াট ফো
ব্যাংককের আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল ওয়াট ফো বুদ্ধ মন্দির। এই স্থানটিতে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের বিশাল আকৃতির এক মূর্তি। এই মূর্তিটি প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট উচ্চতা বিশালাকৃতির মূর্তি। এই মূর্তিটি সম্পূর্ণ সোনার পাতের মোরা যে কারণে মূর্তিটিকে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। এছাড়াও মূর্তিটির চোখ ও পা দুটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে আরো বেশ কয়েক রকম জিনিস দেখতে পাবেন যেমন, প্যাগোডা, অসংখ্য বুদ্ধমূর্তি বোধিবৃক্ষ ঝরনা ইত্যাদি।
পাতায়া সমুদ্র সৈকত
আপনারা যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা হয়তো সকলেই এই স্থানটির নাম শুনেছেন। এই সৈকত টির সামনে বিস্তৃত নীল সমুদ্র তাতে ভেসে বেড়াই বিভিন্ন রং এর নৌকা আর এই সৈকতের পেছন দিকে পাহাড়ের সারি। যা আপনাকে এক অসাধারণ অনুভূত অনুভব করাবে। এই স্থানটির চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সৌন্দর্য।
যা পর্যটকদের অনেক বেশি আকর্ষণ করে থাকে। এই স্থানটিতে রয়েছে মনস্টার একুরিয়াম এখানে পারিবারিক দিন কাটানোর জন্য একটি অন্যতম আদর্শ স্থানের মধ্যে অন্যতম। আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী সম্পর্কে অনেক তথ্য আহরণ করতে পারবেন।
কো ফি-ফি দ্বীপপুঞ্জ
এই স্থানটি পরিচিত লাভ করেছে সেখানকার নান্দনিক শিল্প রুচিসম্মত সৌন্দর্যের জন্য। এখানে প্রতিবছর বিশাল পরিবারে পর্যটক এসে থাকেন। এখানে সামুদ্রিক বিনোদন মূলক কার্যক্রমের জন্য বিশ্বের অন্যতম গন্তব্য স্থল বলে মনে করা হয়। এখানে অনেক বেশি পর্যটক আসে সেখানে পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে মাছ ধরা, রক ক্লাইম্বিং, ক্লিপ ড্রাইভিং করার ইত্যাদি রকমভাবে আনন্দ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানসমূহ
আপনারা যারা থামেনি যেতে আগ্রহী তারা অনেক সময় ইউটিউবে অথবা গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে জানার জন্য। আমরা ইতিমধ্যে উপরে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আরো কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ফুকেট
ফুকেট হল থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এই দ্বীপে পর্যটকরা আসে মূলত আনন্দ ফুর্তি করার জন্য। এই স্থানটিতে রাত ভোরে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন হয়। এই স্থানটি আরো বেশি আরামদায়ক হওয়ার কারণ মৌসুমী বায়ু। আপনার কাছে সবচেয়ে পছন্দের স্থান হতে পারে জেডি স্কেটিং, হাইকিং, ফিশিং ইত্যাদির জন্য।
ফুকেট ট্রিক আই মিউজিয়ামে গিয়ে হাস্যকর ছবি তুলতে পারেন এটা অনেক বেশি মজার অবশ্যই ছবি তুলতে ভুলবেন না। এই স্থানটিতে বিশ্বের প্রায় সব রকমের রেস্তোরাঁ, বার ক্লাব পেয়ে যাবেন। তাই আপনারা যারা থাইল্যান্ডের যেতে আগ্রহী তারা অবশ্যই এই স্থানে ভ্রমণ করতে ভুলবেন না।
আয়ুথায়া
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো শহর হল আয়ুথায়া। এই স্থানটিতে গেলে আপনাদের চোখে ধরা পড়বে সারি সারি বৌদ্ধ মন্দির। আপনাদের মধ্যে যাদের পুরাকীর্তির প্রতি আকর্ষণ আছে তারা অবশ্যই এই স্থানটি ভ্রমণ করবেন।
যদি আপনারা এই স্থানটি ভ্রমণ করতে চান তাহলে ওখান থেকে একটি সাইকেল ভাড়া করে নিয়ে পুরোটা দেখে নিতে পারেন। এই শহরটি ভ্রমণ করলে আপনি সায়ানের স্বর্ণযুগের কথা মনে পড়ে যাবে। যে কারণে আপনারা এই স্থানটি ভ্রমণ করতে পারেন।
আরো পড়ুন.....
কাঞ্চনা বুড়ি
এই স্থানটি থাইল্যান্ডের পশ্চিমে অবস্থিত। এই স্থানটিতে থাইল্যান্ডের যুদ্ধ নিয়ে ঐতিহাসিক অনেক তথ্য রয়েছে। থাইল্যান্ডের এই স্থানটিতে রয়েছে কুয়াই নদী। এই নদীটি জন্য হাজার হাজার পর্যটক এসে থাকেন এই স্থানে। আরো রয়েছে ডেথ রেলওয়ে। এই রিয়েলিটি তৈরির পেছনে যে রহস্যময় ইতিহাস আছে তা আপনারা ভ্রমণের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি তে একটি গুহা পাবেন যারা প্রা থাট এই গুহা টিকে শান্তির স্থান বলা হয়। এখানে খমিন নামের একটি জলপ্রপাত রয়েছে এটি জনমানব থেকে একটু দূরে যা উপভোগ করার মতো একটি স্থান। যে সময় যুদ্ধ হয় সে সময়কার কবরস্থান স্থানে পাবেন। এই স্থানটিতে আরো আপনারা দেখতে পাবেন বিশাল বিশাল মন্দির এবং ন্যাশনাল পার্ক।
কহ ফাঙান
এই স্থানটি ফুর্তি করার জন্য বেশি জনপ্রিয়। মূলত যারা পার্টি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটা। হাদ রিন নামে একটি স্থান আছে যা পার্টি করার জন্য অনেক বেশি বিখ্যাত। এখানে ছড়ানো-ছিটানো বিভিন্ন রকম ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে।
এখানে রাতের আবহাওয়া একটু অন্যরকম। এখানে খুব ভালো খাবার এবং কম দামে পাবেন। এই স্থানটি যেহেতু আনন্দ-ফূর্তি স্থান সুতরাং আপনি কিছুক্ষণ সময় এখানে থাকলে আপনি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করতে পারেন।