পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২২ | পর্তুগালে কাজের বেতন কত | পর্তুগালের ভিসা খরচ কত |
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আপনারা যারা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। মূলত তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই আমাদের এই কনটেন্টটি সাজানো হয়েছে। আমরা গভীরভাবে আশাবাদী যে আমাদের এই কনটেন্টের মাধ্যমে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২২
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সম্প্রীতি নানা রকম তথ্য জেনেছি, তবে এবছরের আগে আমরা পর্তুগালে যাওয়ার জন্য যে ধরনের প্রসেস অনুসরণ করতাম তার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আর এ সকল নতুন নতুন বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আজকে আলোচনা করব।
পর্তুগাল দেশটিতে কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করার সুযোগ থাকার কারণে এখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো টাকার মানের দিক থেকেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পর্তুগাল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের একটি আকর্ষণের জায়গা হল এই দেশটি।
পর্তুগাল কাজের ভিসা
আপনারা যারা পর্তুগালে কাজ করার জন্য ইচ্ছুক তারা পর্তুগাল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে পর্তুগাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন, পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন। পর্তুগালে গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন।পর্তুগালে কাজের বেতন কত। পর্তুগালে যেতে হলে কিভাবে আবেদন করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনারা যারা পর্তুগালের যেতে ইচ্ছুক বা পর্তুগাল সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
পর্তুগালে কাজের বেতন কত?
আপনারা যারা পরিবারের কাজ করতে যেতে চান তারা জানতে আগ্রহী পর্তুগালে কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে। চলুন পর্তুগালে কাজের বেতন সম্পর্কে জেনে নিই।পর্তুগালে মাসিক বেতন দেওয়া হয়ে থাকে সর্বনিম্ন প্রায় ৭০৫ ইউরো। পর্তুগালে কাজের বেতন এটা সর্বনিম্ন ধরা হয়ে থাকে। কাজের ওপর ভিত্তি করে বেতন কম বেশী হয়ে থাকে। পর্তুগালে অনেক রকম কাজের জন্য অনেক রকম ভাবে বেতন দেয়া হয়ে থাকে। তবে সর্বনিম্ন বেতন ৭০৫ ইউরো। কয়েক মাস কাজ করার পরে বেতন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
পর্তুগালে কাজ পাব কিভাবে?
পর্তুগালে কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে সেই দেশের চাকরি বিষয়ক ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করতে হবে। তুমি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে পর্তুগালে কোন ধরনের কাজগুলো বাঙালিরা বেশি করে থাকে। এবং বর্তমান সময়ে কোন কাজগুলো সব থেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে।এছাড়াও বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন পর্তুগালে। বাঙালিরা বর্তমান সময়ে কোন কাজের উপর সব থেকে বেশি পরিমাণে ভিসা সংগ্রহ করছেন। সেই সাথে আপনি কোন বিষয়ের উপর নিজের স্কিল ডেভলপ করেছেন সেটার উপর কাজ করতে পারেন।
পর্তুগালের জব ওয়েবসাইট লিংক
এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা খুব সহজেই পর্তুগালের জব খুঁজতে পারবেন এবং সেখান থেকে জব ম্যানেজ করতে পারবেন। শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটটিই নয় এই ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনারা নানা ধরনের চাকরির খোঁজখবর নিতে পারবেন।এছাড়া অনেকেই চাই পর্তুগালের সরকারি চাকরি করার জন্য, আপনি যদি সরকারি চাকরির খোঁজ-খবর নিতে চান তাহলে পর্তুগাল গভারমেন্ট যে ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো আপনাকে ভিজিট করতে হবে।
পর্তুগালের যেতে কত টাকা লাগে?
পর্তুগালের ভিসা খরচ কত?
পর্তুগালে যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো। আপনি যদি দালালদের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ আরো বেশি হবে সাত-আট লক্ষ টাকা প্রায়। আপনি যদি নিজে নিজে সবকিছু করতে পারেন তাহলে আপনি দুই লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি খুব সহজেই পর্তুগালে পৌঁছাতে পারবেন।
আর যদি আপনি কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল এর যেতে পারেন তাহলে আপনার শুধুমাত্র আপনার ডকুমেন্ট এর খরচ এবং আপনার বিমান খরচ হবে। তার মানে প্রায় আপনার খরচ হবে এক লক্ষ টাকা মাত্র।
পর্তুগালে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি?
আপনারা যারা পর্তুগালে কাজ করার জন্য যেতে চান তারা সকলে জানতে আগ্রহী পর্তুগালে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই পর্তুগালে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।- জেনারেল লেবার
- প্যাকেজিং কাজ
- ওয়্যারহাউজ
- ড্রাইভার
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- ওয়েটার
- ক্লিনার স্টপ
- শেফ
পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা যারা পর্তুগাল যেতে চান তাদের সকলের জানা উচিত পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই পর্তুগাল যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।- পর্তুগাল যেতে হলেযেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম আবেদন করতে হবে।
- আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- দুইটা বা তার অধিক ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রয়োজন হবে।
- করোনার টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- সদ্য তোলা ছবি এর প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে সম্পর্কে একটি তথ্য লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল এর কত রকম ভিসা চালু রয়েছে
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যেতে চান তারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল কত রকম চালু রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চান। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক রকম ভিসা চালু রয়েছে।যেমন,
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- কনফারেন্স ভিসা
- এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসা
পর্তুগালে বাঙালিরা কি কি কাজ করে?
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যেতে চান। তারা জানতে চান পর্তুগালে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব পর্তুগালে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।- বাঙালিরা লেবারের কাজ করে থাকেন।
- পর্তুগালে রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন।
- পর্তুগালে বাঙালিরা শেফ এর কাজ ।
- ক্লিনারের কাজ করে থাকেন।
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করে থাকেন।
- ড্রাইভিং এর কাজ করে।
- বাঙালিরা খাবার প্যাকেজিং এর কাজ করে থাকেন।