ওমানে কাজের ভিসা | ওমানে কাজের বেতন কত | ওমানে যেতে কত টাকা লাগে |

ওমানে কাজের ভিসা | ওমানে কাজের বেতন কত | ওমানে যেতে কত টাকা লাগে

ওমানে কাজের ভিসা

আপনারা অনেকেই অনেক দেশে কাজ করার জন্য যেতে আগ্রহী। । আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে ওমানে কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকের এই কনটেন্ট থেকে আপনারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন ওমান সম্পর্কে। আপনারা যদি ওমান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পুরো কনটেন্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। ইনশাল্লাহ আপনারা উপকৃত হবেন।

চলুন জেনে নিই ওমানের কাজের ভিসা সম্পর্কে। ওমানে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। ওমানে যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে। ওমানে কাজের বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ওমানে কাজের বেতন কত

ওমানে 1 জন শ্রমিক কাজ করে মাসিক বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় প্রায় 25 থেকে 35 হাজার টাকা। অফিস টাইম ব্যতীত যে সকল কাজগুলো করা হয় সব কাজের জন্য এক্সট্রা টাকা দেওয়া হয়ে থাকে যাকে আমরা ওভারটাইম করে থাকি। কাজের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন কোম্পানির উপর ভিত্তি করেও একই কাজের বেতন কমবেশি হয়ে থাকে।

ওমানে অনেক বাংলাদেশি রয়েছে যারা সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করেন। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন, আপনি যদি লেবারের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি ৩০ হাজার টাকার মত পাবেন প্রতি মাসে। আপনি যদি ড্রাইভিং এর কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে করতে পারবেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার। এভাবেই কাজের উপর নির্ভর করে বেতন পরিবর্তন হয়।

ওমানে যেতে কত টাকা লাগে

যে কোন দেশে যাওয়ার পূর্বেই সবাই জানতে চাই সে দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে।
ওমানে যেতে খরচ হয় প্রায় ৪ লক্ষ থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ওমানের যদি আপনার কোন আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে আপনি তাদের মাধ্যমে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। তুলনামূলক ভাবে ও আপনার খরচ কমে যাবে। এজেন্সির মাধ্যমে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ওমানে অনেক রকম কাজ রয়েছে। তবে সকল কাজের চাহিদা একরকম নয়। কিছু কিছু কাজের চাহিদা অনেক বেশি থাকে এবং কিছু কিছু কাজের চাহিদা অনেক কম থাকে। আপনারা যারা ওমান যাবেন তারা যে সকল কাজগুলো চাহিদা বেশি সেই সকল কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান। যে কারণে আপনারা জানতে চান কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি। ওমানে যে সকল কাজগুলোর চাহিদা বেশি তা উল্লেখ করা হলো।

  • কনস্ট্রাকশন সাইট, জেনারেল এবার থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান পর্যন্ত প্রচুর কাজ রয়েছে।
  • কার্পেন্টার
  • ম্যাসন
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • প্লাম্বার
  • ইঞ্জিনিয়ার
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট
  • ট্রান্সপোর্ট
  • ড্রাইভার
  • ফিশার প্যাকেজিং


ওমানে যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন

আপনারা যারা ওমানের যাবেন তাদের সকলের জানা জরুরী ওমানে যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে। ডকুমেন্টস এর ভুল ত্রুটির কারণে অনেক সময় ভিসার সকল কার্যক্রম শেষ হবার মতো অবস্থাতেও ভিসা পাওয়া সম্ভব হয় না। যে কারণে আপনাদের ডকুমেন্ট সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। ওমান যেতে যে সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় তা হলো।

  1. ওমানে যেতে হলে অবশ্যই আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  2. পাসপোর্টে সর্বনিম্ন 6 মাস মেয়াদ থাকতে হবে এবং দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  3. আপনার ছবির প্রয়োজন হবে।
  4. এনআইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
  5. জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  7. মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  8. করোনা ভ্যাকসিন কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
  9. আপনি যদি ড্রাইভিং কাজের জন্য যান তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।
ওমানে যেতে হলে মূলত এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে। যদি অন্যান্য আরো ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় তাহলে তারা আপনাকে জানিয়ে দেবে।


ওমানে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা ওমানে কাজ করছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা নতুনভাবে ওমান কাজ করার জন্য যাবেন। বাঙালিরা ওমানে গিয়ে যে সকল কাজগুলো করেন সেই সকল কাজগুলো সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলো।

ওমান গিয়ে বাঙালিরা কার্পেন্টার, ম্যাসন, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ইঞ্জিনিয়ার, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, ট্রান্সপোর্ট, ড্রাইভার, ফিশার প্যাকেজিং আরো অনেক রকম কাজ করে থাকেন। কাজের উপর নির্ভর করে তাদের বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং কোম্পানির উপর নির্ভর করে বেতন কমবেশি হয়।

ওমানে কি ওভারটাইম কাজের সুবিধা আছে

ওমানে ওভারটাইম কাজের সুবিধা রয়েছে। আপনার অফিস টাইম শেষ করার পর যে সকল কাজগুলো করবেন সেই সকল কাজগুলোই ওভারটাইম হিসেবে ধরা হবে। ওভারটাইমের জন্য আপনাকে এক্সট্রা টাকা দেওয়া হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url