আজকে আমাদের এই কনটেন্টটির বিষয় হলো সৌদি আরব কাজের ভিসা সম্পর্কে। আপনারা যারা সৌদি আরব যেতে চান অথবা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন তাদের জন্য এই কনটেন্টটি খুবই
উপকারে আসবে। আমাদের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে সেখানে কেমন ভিসা পাওয়া যায় এবং কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
সৌদি আরব কাজের ভিসা
বাংলাদেশ থেকে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছে তার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। কারণ বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ এবং সৌদি আরবের সাংস্কৃতিকতা দিক থেকে অনেকটাই মিল হওয়ার কারণেই অধিক পরিমাণে প্রবাসী অধিবাসন করে থাকে। এছাড়াও বেতন ভাতা সহ কাজের নানা ধরনের সুবিধার দিক থেকে সৌদি আরবে গিয়ে বিশেষ কিছু সুবিধা পায় বাঙালিরা। সৌদি আরবে কাজের জন্য অনেক ধরনের ভিসা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আমরা নিচের দিকে আলোচনা করব।
সৌদি আরব ভিসা খরচ কত?
অনেক সময় জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সৌদি আরব ভিসা খরচ কত? বলা যায় এটা একটা কমন প্রশ্ন কেননা সকলেই জানতে চান যে কোন দেশে যাওয়ার পূর্বে সে দেশের ভিসা খরচ সম্পর্কে। আসুন আমরা জেনে নেই সৌদি আরব ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সৌদি আরব এর ভিসা খরচ অনেক রকম হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই ভাবছেন অনেক রকম বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছে। আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে। দালালেরা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে সৌদি আরব যেতে। আবার ৪ লক্ষ টাকা দিয়েও সৌদি আরব যাওয়া সম্ভব।
দালালেরা বিভিন্নভাবে আপনাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করবে। আপনারা যে দেশে যান না কেন সে দেশে যাবার পূর্বে সে দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভালোভাবে জেনে বুঝে তারপরে যাবেন তা না হলে হলে যেকোনো সময় প্রতারিত হতে পারেন।
সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম
সৌদি আরব ভিসা চেক করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যে আপনি যদি মনে করেন আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি আরব ভিসা চেক করে নিবেন তাহলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার সহ একটি রেফারেন্স নাম্বার দিলেই আপনার ভিসা সর্বশেষ আপডেট তথ্য জানতে পারবেন।ছাড়াও ভবিষ্যৎ চেক করার জন্য আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে না জানেন সে ক্ষেত্রে এজেন্সিতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেও ভিসার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবেন। এরপরেও আপনি যদি কোন ভাবে ভিসা সম্পর্কিত কোনো জটিলতায় ভুগেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করলে আমরা আপনাকে সঠিকভাবে ভিসা চেক করে দেবো ইনশাল্লাহ।
সৌদি আরব কাজের ভিসায় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
প্রতিটা দেশের মতো সৌদি আরবে যেতে হলেও নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। যে ডকুমেন্টসগুলো ছাড়া আপনার ভিসা প্রক্রিয়াটি কখনোই সম্ভব না। তাই অবশ্যই ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নিন্মুক্ত ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন।- সৌদি আরব যেতে হলে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং তাতে কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই দুইটা অথবা 4 টা ফাঁকা পেজ থাকতে হবে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
- সৌদি আরব যেতে চাইলে আপনার সদ্য তোলা ছবি এর প্রয়োজন হবে।
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
- আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এর প্রয়োজন হতে পারে।
- আপনার করোনা টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে?
সৌদি
আরব যেতে কত টাকা
লাগে এ প্রশ্নের আসলে
সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব না। কারণ সৌদি
আরবে আপনি কোন ভিসা
যাওয়ার জন্য ইচ্ছুক সেটা
তো আমরা জানি না,
তবে স্বাভাবিকভাবেই আপনি যদি সৌদি
আরব কাজের ভিসা নিয়ে যেতে
চান সেক্ষেত্রের সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়
লক্ষ টাকার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব। যদিও স্টুডেন্ট ভিসা
এবং টুরিস্ট পেশার জন্য খরচ কিছুটা
কম হয়।
সৌদি ভিসার দাম কত?
- কাজের ভিসার জন্য চার থেকে ছয় লক্ষ টাকা।
- টুরিস্ট ভিসার জন্য সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা।
সৌদি আরবের ভিসা কত দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে
আপনারা অনেক সময় জানতে চান সৌদি আরবের ভিসা কত দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে। ভিসা করতে দিয়ে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে কবে ভিসা পাব এমন। চলুন জেনে নেই সৌদি আরবের ভিসা কত দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।জানা গেছে আগে সৌদি আরবের ভিসা পেতে দুই থেকে তিন মাস লেগে যেত। তবে এখন নতুন কাজের ভিসা আপনি চাইলে দশদিনের মধ্যে নিতে পারবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি সৌদি আরব এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারেন। এবং আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে চান সেই এজেন্সি থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
সৌদি আরবে কাজের বেতন কত?
স্বাভাবিকভাবে একজন নাগরিক সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করে ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
চলুন জেনে নেই সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বিশেষভাবে মনে রাখবে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন না করে আলাদা আলাদা কাজের উপর নিজের স্কিলটাকে ডেভলপ করার চেষ্টা করবেন।সৌদি আরবের সবচেয়ে বেশি কাজগুলোর মধ্যে
- ইলেকট্রনিক্স
- নির্মাণ কাজ
- পাইপ ফিটার
- হোটেল জব
- অটোমোবাইল
- রেস্টুরেন্টে কাজ
- ড্রাইভিং
- মসজিদ ক্লিনার
- বাসা বাড়ি
- কনস্ট্রাকশন
- ইমাম
- মোয়াজ্জেম
সৌদি আরবে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন?
আসুন জেনে নিই সৌদি আরবে বাঙালিরা কি কি কাজ করে সে সম্পর্কে। যদিও একটু কাজ গুলো ছাড়া ভালো নানা ধরনের কাজ রয়েছে যা বাঙ্গালীদের কে দেওয়া হয়। তবে বিশেষভাবে নিচের কাজগুলো বাঙ্গালীদের কে একটু বেশি দেওয়া হয়।- ক্লিনার
- ড্রাইভিং
- রেস্টুরেন্টে কাজ
- নির্মাণ কাজ
- হোটেলের জব
- অটোমোবাইল
- পাইপ ফিটার
- মসজিদ ক্লিনার
- খামার বাগান বাড়ি
সৌদি আরবের নতুন খবর
বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরব ভিসা সংগ্রহ করার জন্য আমাদের এই কন্টেন্ট মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তাদের জন্য বলতে চাই বর্তমান সময়ে সৌদি আরব যাওয়াটা একটু কঠিন ব্যাপার। কারণ সৌদি আরবে বেশ কিছু কোম্পানি এবং নির্মাণাধীন অনেক কাজ স্থগিত রয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে সৌদি আরব কাজের ভিসা সংগ্রহ না করাটাই সব থেকে বেশি ভালো হবে।সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা কি?
আপনারা অনেকেই অনেকের মুখ থেকে শুনে থাকেন ফ্রি ভিসার সম্পর্কে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না ফ্রি ভিসা তাকে বলে বা ফ্রি ভিসা কি। অনেকেই ভাবেন ফ্রি ভিসা মানে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না। এটা আপনার একটি ভুল ধারণা। ফ্রি ভিসা বলতে কি বুঝায় চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।আসলে ফ্রী ভিসা বলতে কোন ভিসা নেই সব ভিসা দেয় টাকা খরচ হবে।
এখানে এই ফ্রি ভিসা বলতে মানুষ বুঝে থাকে আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সে দেশে যাচ্ছেন এবং সে কাজ করেছেন। যখন আপনি ফ্রি ভিসা নিয়ে যাবেন তখন আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারবেন কোনো নির্দিষ্টতা থাকবে না। আসলে এটা কি ফ্রি ভিসা বলে থাকে অনেকে।
সৌদি আরব ভিসা প্রকারভেদ
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন কাজ করার জন্য যেয়ে থাকেন। সৌদি আরবে আপনারা বেশ কয়েক রকম ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। যে সকল ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে বর্তমান সময়ে আপনারা সৌদি আরবে যেতে পারবেন সেই সকল ভিসা গুলোর নাম নিম্ন উল্লেখ করা হলো।
- টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আপনারা সৌদি আরব যেতে পারবেন।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে পারবেন।
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
- বিজনেস ভিসা
এছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয় রয়েছে। যেমন,
- আমেল মঞ্জিল ভিসা
- আমেল আইদি ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
- মাজরার ভিসা ইত্যাদি
সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ভিসার ধরণ নির্বাচন
যে কোন দেশে যাবার পূর্বে ভিসার ধরন নির্বাচন করার প্রয়োজন হয়। আপনি যে কারণে অন্য দেশে যেতে চান সেটার জন্যই ভিসা নির্বাচন করতে হয়। যেমন, আপনি সৌদি আরবে যদি ঘুরতে যেতে চান তাহলে আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। আবার আপনি যদি কাজ করার জন্য যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে।
টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাবার পরে সেখানে আপনারা কাজ করতে পারবেন না। আবার বিজনেস করার জন্য আপনি অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসা নিলে হবে না। বিজনেস করার জন্য আপনাকে বিজনেস ভিসা নিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনার ভিসার ক্যাটাগরি ভিন্ন রকম হবে। যে কারণে সৌদি আরবে যেতে চান সে ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে আপনারা সৌদি আরব যাবেন।
ক্যাটেগরিঃ
travel